প্রিয় পাঠকবৃন্দ বাংলা ইমেজ এর পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আমর দ্বীনী ভাই ও বোনেরা আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমরাও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সম্মানিত ভাই বোনেরা আজ আমরা আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম সূরা আত তারিক্ব, সুরা আত তারিক, সূরা আত ত্বীন বাংলা, সূরা আত তাকবীর, সুরা আত তিন। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়বেন এবং সঠিক তথ্যটি পাবেন।
সূরা আত তারিক্ক
বাংলা উচ্চারণঃ ওয়াছ ছামাই ওয়াততা-রিক। ওয়া মাআদরা-কা মাত্তা-রিক। আন্নাজমুছছা-কিব। ইন কুল্লুনাফছিল লাম্মা-‘আলাইহা-হা-ফিজ। ফালইয়ানযুরিল ইনছা-নুমিম্মা খুলিক। খুলিকা মিম্মাইন দা-ফিকি। ইয়াখরুজুমিম বাইনিসসুলবি ওয়াত্তারাইব। ইন্নাহূ‘আলা-রাজ‘ইহী লাকা-দির। ইয়াওমা তুবলাছ ছারাইর। ফামা-লাহূমিন কুওওয়াতিওঁ ওয়ালা-না-সির। ওয়াছ ছামাই যা-তির রাজ‘ই। ওয়াল আরদিযা-তিসসাদ‘ই।ইন্নাহূলাকাওলুন ফাসল। ওয়ামা-হুওয়া বিল হাঝলি। ইন্নাহুম ইয়াকীদূনা কাইদাওঁ। ওয়া আকীদুকাইদা। ফামাহহিলিল কা-ফিরীনা আমহিলহুম রুওয়াইদা-।
আরবি উচ্চারণঃ
وَ السَّمَآءِ وَ الطَّارِقِۙ وَ مَاۤ اَدْرٰىكَ مَا الطَّارِقُۙ النَّجْمُ الثَّاقِبُۙ اِنْ كُلُّ نَفْسٍ لَّمَّا عَلَیْهَا حَافِظٌؕ فَلْیَنْظُرِ الْاِنْسَانُ مِمَّ خُلِقَؕ خُلِقَ مِنْ مَّآءٍ دَافِقٍۙ یَّخْرُ جُ مِنْۢ بَیْنِ الصُّلْبِ وَ التَّرَآىٕبِؕ اِنَّهٗ عَلٰى رَجْعِهٖ لَقَادِرٌؕ یَوْمَ تُبْلَى السَّرَآىٕرُۙ فَمَا لَهٗ مِنْ قُوَّةٍ وَّ لَا نَاصِرٍؕ وَ السَّمَآءِ ذَاتِ الرَّجْعِۙ وَ الْاَرْضِ ذَاتِ الصَّدْعِۙ اِنَّهٗ لَقَوْلٌ فَصْلٌۙ وَّ مَا هُوَ بِالْهَزْلِؕ اِنَّهُمْ یَكِیْدُوْنَ كَیْدًاۙ وَّ اَكِیْدُ كَیْدًاۚۖ فَمَهِّلِ الْكٰفِرِیْنَ
اَمْهِلْهُمْ رُوَیْدًا۠
অর্থঃ “শপথ আকাশের এবং রাত্রিতে আগমনকারীর। আপনি জানেন, যে রাত্রিতে আসে সেটা কি? সেটা এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। প্রত্যেকের উপর একজন তত্ত্বাবধায়ক রয়েছে। অতএব, মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে। সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে। এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য থেকে। নিশ্চয় তিনি তাকে ফিরিয়ে নিতে সক্ষম।যেদিন গোপন বিষয়াদি পরীক্ষিত হবে। সেদিন তার কোন শক্তি থাকবে না এবং সাহায্যকারীও থাকবে না। শপথ চক্রশীল আকাশের। এবং বিদারনশীল পৃথিবীর। নিশ্চয় কোরআন সত্য-মিথ্যার ফয়সালা। এবং এটা উপহাস নয়। তারা ভীষণ চক্রান্ত করে। আর আমিও কৌশল করি।অতএব, কাফেরদেরকে অবকাশ দিন, তাদেরকে অবকাশ দিন, কিছু দিনের জন্যে।ʼʼ
সূরা আত ত্বীন বাংলা
ওয়াততীন ওয়াঝঝাইতূন। ওয়া তূরি ছীনীন। ওয়া হা-যাল বালাদিল আমীন। লাকাদ খালাকনাল ইনছা-না ফীআহছানি তাকবীম। ছু ম্মা রাদাদ না-হু আছফালা ছা-ফিলীন। ইল্লাল্লাযীনা আ-মানূওয়া‘আমিলুসসা লিহা-তি ফালাহুম আজরুন গাইরু মামনূন। ফামা-ইউকাযযি বুকা বা‘দুবিদ্দীন। আলাইছাল্লা-হু বিআহকামিল হা-কিমীন।
অর্থঃ শপথ আঞ্জীর (ডুমুর) ও যয়তুনের, এবং সিনাই প্রান্তরস্থ তূর পর্বতের, এবং এই নিরাপদ নগরীর। আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে। অতঃপর তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি নীচ থেকে নীচে। কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্যে রয়েছে অশেষ পুরস্কার। অতঃপর কেন তুমি অবিশ্বাস করছ কেয়ামতকে? আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্টতম বিচারক নন
সূরা আত তারিক
ওয়াছ ছামাই ওয়াততা-রিক। ওয়া মাআদরা-কা মাত্তা-রিক। আন্নাজমুছছা-কিব। ইন কুল্লুনাফছিল লাম্মা-‘আলাইহা-হা-ফিজ। ফালইয়ানযুরিল ইনছা-নুমিম্মা খুলিক। খুলিকা মিম্মাইন দা-ফিকি। ইয়াখরুজুমিম বাইনিসসুলবি ওয়াত্তারাইব। ইন্নাহূ‘আলা-রাজ‘ইহী লাকা-দির। ইয়াওমা তুবলাছ ছারাইর। ফামা-লাহূমিন কুওওয়াতিওঁ ওয়ালা-না-সির। ওয়াছ ছামাই যা-তির রাজ‘ই। ওয়াল আরদিযা-তিসসাদ‘ই।ইন্নাহূলাকাওলুন ফাসল। ওয়ামা-হুওয়া বিল হাঝলি। ইন্নাহুম ইয়াকীদূনা কাইদাওঁ। ওয়া আকীদুকাইদা। ফামাহহিলিল কা-ফিরীনা আমহিলহুম রুওয়াইদা-।
সূরা আত তাকবীর
বাংলা উচ্চারণঃ
ইযাশশামছুকুওবিরাত। ওয়া ইযাননুজূমুন কাদারাত। ওয়া ইযাল জিবা-লুছুইয়িরাত। ওয়া ইযাল ‘ইশা-রু ‘উত্তিলাত। ওয়া ইযাল উহূশু হুশিরাত। ওয়া ইযাল বিহা-রু ছুজ্জিরাত। ওয়া ইযাননুফূছুঝুওবিজাত।ওয়া ইযাল মাওঊদাতুছুইলাত। বিআইয়ি যামবিন কুতিলাত। ওয়া ইযাসসুহুফুনুশিরাত। ওয়া ইয়াছ ছামাউ কুশিতাত। ওয়া ইযাল জাহীমুছু‘‘য়িরাত। ওয়া ইযাল জান্নাতুউঝলিফাত। আলিমাত নাফছুম মাআহদারাত। ফালা উকছিমুবিলখুন্নাছ। আল জাওয়া-রিল কুন্নাছ। ওয়াল্লাইলি ইযা-‘আছ‘আছ। ওয়াসসুবহিইযা-তানাফফাছ। ইন্নাহূলাকাওলুরাছূলিন কারীম। যী কুওওয়াতিন ‘ইনদা যিল ‘আরশি মাকীন। মুতা-‘ইন ছাম্মা আমীন। ওয়া মা-সা-হিবুকুম বিমাজনূন। ওয়া লাকাদ রাআ-হু বিলউফুকিল মুবীন। ওয়ামা-হুওয়া ‘আলাল গাইবি বিদানীন।ওয়ামা-হুওয়া বিকাওলি শাইতা-নির রাজীম। ফাআইনা তাযহাবূন। ইন হুওয়া ইল্লা-যিকরুল লিল‘আ-লামীন। লিমান শাআ মিনকুম আইঁ ইয়াছতাকীম।ওয়ামা-তাশাঊনা ইল্লাআইঁ ইয়াশাআল্লা-হু রাব্বুল ‘আ-লামীন।
আরবি উচ্চারণঃ
اِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْﭪ وَ اِذَا النُّجُوْمُ انْكَدَرَتْﭪ وَ اِذَا الْجِبَالُ سُیِّرَتْﭪ وَ اِذَا الْعِشَارُ عُطِّلَتْﭪ وَ اِذَا الْوُحُوْشُ حُشِرَتْﭪ وَ اِذَا الْبِحَارُ سُجِّرَتْﭪ وَ اِذَا النُّفُوْسُ زُوِّجَتْﭪ وَ اِذَا الْمَوْءٗدَةُ سُىٕلَتْﭪ بِاَیِّ ذَنْۢبٍ قُتِلَتْۚ وَ اِذَا الصُّحُفُ نُشِرَتْﭪ وَ اِذَا السَّمَآءُ كُشِطَتْﭪ وَ اِذَا الْجَحِیْمُ سُعِّرَتْﭪ وَ اِذَا الْجَنَّةُ اُزْلِفَتْﭪ عَلِمَتْ نَفْسٌ مَّاۤ اَحْضَرَتْؕ فَلَاۤ اُقْسِمُ بِالْخُنَّسِۙ الْجَوَارِ الْكُنَّسِۙ وَ الَّیْلِ اِذَا عَسْعَسَۙ وَ الصُّبْحِ اِذَا تَنَفَّسَۙ اِنَّهٗ لَقَوْلُ رَسُوْلٍ كَرِیْمٍۙ ذِیْ قُوَّةٍ عِنْدَ ذِی الْعَرْشِ مَكِیْنٍۙ مُّطَاعٍ ثَمَّ اَمِیْنٍؕ وَ مَا صَاحِبُكُمْ بِمَجْنُوْنٍۚ وَ لَقَدْ رَاٰهُ بِالْاُفُقِ الْمُبِیْنِۚ وَ مَا هُوَ عَلَى الْغَیْبِ بِضَنِیْنٍۚ وَ مَا هُوَ بِقَوْلِ شَیْطٰنٍ رَّجِیْمٍۙ فَاَیْنَ تَذْهَبُوْنَؕ اِنْ هُوَ اِلَّا ذِكْرٌ لِّلْعٰلَمِیْنَۙ لِمَنْ شَآءَ مِنْكُمْ اَنْ یَّسْتَقِیْمَؕ وَ مَا تَشَآءُوْنَ اِلَّاۤ اَنْ یَّشَآءَ اللّٰهُ رَبُّ الْعٰلَمِیْنَ۠
অর্থঃ “যখন সূর্য আলোহীন হয়ে যাবে। যখন নক্ষত্র মলিন হয়ে যাবে। যখন পর্বতমালা অপসারিত হবে। যখন দশ মাসের গর্ভবতী উষ্ট্রীসমূহ উপেক্ষিত হবে। যখন বন্য পশুরা একত্রিত হয়ে যাবে। যখন সমুদ্রকে উত্তাল করে তোলা হবে। যখন আত্মাসমূহকে যুগল করা হবে। যখন জীবন্ত প্রোথিত কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে। কি অপরাধে তাকে হত্য করা হল? যখন আমলনামা খোলা হবে। যখন আকাশের আবরণ অপসারিত হবে। যখন জাহান্নামের অগ্নি প্রজ্বলিত করা হবে। এবং যখন জান্নাত সন্নিকটবর্তী হবে। তখন প্রত্যেকেই জেনে নিবে সে কি উপস্থিত করেছে। আমি শপথ করি যেসব নক্ষত্রগুলো পশ্চাতে সরে যায়। চলমান হয় ও অদৃশ্য হয়। শপথ নিশাবসান ও। প্রভাত আগমন কালের। নিশ্চয় কোরআন সম্মানিত রসূলের আনীত বাণী। যিনি শক্তিশালী, আরশের মালিকের নিকট মর্যাদাশালী। সবার মান্যবর, সেখানকার বিশ্বাসভাজন। এবং তোমাদের সাথী পাগল নন। তিনি সেই ফেরেশতাকে প্রকাশ্য দিগন্তে দেখেছেন। তিনি অদৃশ্য বিষয় বলতে কৃপনতা করেন না। এটা বিতাড়িত শয়তানের উক্তি নয়। অতএব, তোমরা কোথায় যাচ্ছ? এটা তো কেবল বিশ্বাবাসীদের জন্যে উপদেশ। তার জন্যে, যে তোমাদের মধ্যে সোজা চলতে চায়। তোমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অভিপ্রায়ের বাইরে অন্য কিছুই ইচ্ছা করতে পার না।ʼʼ
সূরা আত তিন
বাংলা উচ্চারণঃ ওয়াততীন ওয়াঝঝাইতূন। ওয়া তূরি ছীনীন। ওয়া হা-যাল বালাদিল আমীন। লাকাদ খালাকনাল ইনছা-না ফীআহছানি তাকবীম। ছু ম্মা রাদাদ না-হু আছফালা ছা-ফিলীন। ইল্লাল্লাযীনা আ-মানূওয়া‘আমিলুসসা লিহা-তি ফালাহুম আজরুন গাইরু মামনূন। ফামা-ইউকাযযি বুকা বা‘দুবিদ্দীন। আলাইছাল্লা-হু বিআহকামিল হা-কিমীন।
আরবি উচ্চারণঃ
وَ التِّیْنِ وَ الزَّیْتُوْنِۙ وَ طُوْرِ سِیْنِیْنَۙ وَ هٰذَا الْبَلَدِ الْاَمِیْنِۙ لَقَدْ خَلَقْنَا الْاِنْسَانَ فِیْۤ اَحْسَنِ تَقْوِیْمٍ٘ ثُمَّ رَدَدْنٰهُ اَسْفَلَ سٰفِلِیْنَۙ اِلَّا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ فَلَهُمْ اَجْرٌ غَیْرُ مَمْنُوْنٍؕ فَمَا یُكَذِّبُكَ بَعْدُ بِالدِّیْنِؕ اَلَیْسَ اللّٰهُ بِاَحْكَمِ الْحٰكِمِیْنَ۠
অর্থঃ “শপথ আঞ্জীর (ডুমুর) ও যয়তুনের, এবং সিনাই প্রান্তরস্থ তূর পর্বতের, এবং এই নিরাপদ নগরীর। আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে। অতঃপর তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি নীচ থেকে নীচে। কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্যে রয়েছে অশেষ পুরস্কার। অতঃপর কেন তুমি অবিশ্বাস করছ কেয়ামতকে? আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্টতম বিচারক নন।ʼʼ
Tag: সূরা আত তারিক্ব, সুরা আত তারিক, সূরা আত ত্বীন বাংলা, সূরা আত তাকবীর, সুরা আত তিন।