সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত এর ফজিলত অনেক। সূরা বাকারা হল- কুরআনের সর্বপ্রথম সূরা। অবশ্যই অনেকেই ভাববেন যে এটি তো কুরআনের দুই নং সূরা। কিন্তু সূরা ফাতিহাকে কুরআনের প্রবেশদ্বার বা উন্মচনদ্বার বলা হয়েছে এবং কোরআনের সূরা হয়েছে সূরা বাকারা থেকে। অনেকের মনে প্রশ্ন আসবে তাহলে ফাতিহা কি সূরা নয়। ফাহিতা অবশ্যই একটি সূরা, কিন্তু ফাতিহাকে ক্রমিক তালিকায় আনা হয়নি। আপনি কুরআন পড়ার সময় খেয়াল করে দেখবেন, সেখানে স্পষ্ট ভাবে লেখা আছে বা কুরআনের পারা-১ শুরু হয়েছে সূরা বাকারা থেকে।
সূরা আল বাকারা (আরবি ভাষায়: سورة البقرة) মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের দ্বিতীয় সূরা।এটি কুরআনের দীর্ঘতম ও বড়, এর আয়াত সংখ্যা ২৮৬ টি এবং রূকুর সংখ্যা ৪০ টি। আল বাকারা সূরাটি মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত আরবি উচ্চারণ
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত আরবি উচ্চারণ অনকেই ভালোমত পারেন না,তারা আমদের এই পোষ্ট থেকে আয়াত (বাকারা, ২৮৫-২৮৬) শুদ্ধ ভাবে উচ্চারণ শিখে নিতে পারবেন।
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা উচ্চারণ
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা উচ্চারণ আপনাদের সুবিধার্থে দেওয়া হল,এখান থেকে আপবারা এই আয়াত টির শুদ্ধ উচ্চারণ শিখতে পয়ারবেন।
বাংলা উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আমানুর-রাসুলু বিমা উংজিলা ইলাইহি মির রাব্বিহি ওয়াল মু’মিনুন। কুল্লুন আমানা বিল্লাহি ওয়া মালা-ইকাতিহি ওয়া কুতুবিহি ওয়া রুসুলিহি, লা নুফার-রিকু বাইনা আহা’দিম-মির রুসুলিহি। ওয়া ক্বালু সামি’না, ওয়া আত্বা’না, গুফরা নাকা, রাব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাসির। (বাকারা, ২৮৫)
লা ইউ কাল্লিফুল্লাহু নাফসান ইল্লা উস-আ’হা। লাহা মা কাসাবাত ওয়া আ’লাইহা মাক তাসাবাত। রব্বানা লা-তু আখজিনা-ইন্না সিনা- আও আখত্বা’না। রাব্বানা ওয়ালা তাহ’মিল আ’লাইনা ইসরান কামা হা’মালতাহু আ’লাল্লাজিনা মিন ক্বাবলিনা। রব্বানা ওয়ালা তুহা’ম্মিলনা মা-লা ত্বাকাতালানা বিহ। ওয়াআ’ফু আ’ন্না, ওয়াগ ফিরলানা, ওয়ার হা’মনা। আংতা মাওলানা, ফানছুরনা আ’লাল ক্বাওমিল কাফিরিন। (বাকারা, ২৮৬)
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা অর্থ
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা অর্থ আপনারা যারা জানতে চাচ্ছিলেন, তারা আমদের এই পোষ্টের মধ্যে বাংলা অর্থ পেয়ে যাবেন।
বাংলা অর্থঃ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
আয়াত (বাকারা, ২৮৫)
রসূল বিশ্বাস রাখেন ঐ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে যা তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাঁর কাছে অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুসলমানরাও সবাই বিশ্বাস রাখে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর গ্রন্থসমুহের প্রতি এবং তাঁর পয়গম্বরগণের প্রতি। তারা বলে আমরা তাঁর পয়গম্বরদের মধ্যে কোন তারতম্য করিনা। তারা বলে, আমরা শুনেছি এবং কবুল করেছি। আমরা তোমার ক্ষমা চাই, হে আমাদের পালনকর্তা। তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
আয়াত (বাকারা, ২৮৬)
আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে। হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।
সূরা বাকারার শেষ ২ আয়াতের ফজিলত
সূরা বাকারার শেষ ২ আয়াতের ফজিলত হজরত আবু মাসউদ (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “যে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত রাতে পাঠ করবে, তার জন্য এ দুটি আয়াত যথেষ্ট হবে; অর্থাৎ সারারাত সে জিন ও মানুষের অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে এবং প্রতিটি অপ্রিয় বিষয় থেকে তাকে হেফাজত করা হবে। সহীহ বুখারি ও সহীহ মুসলিম।
বুখারি ৫০১০, মুসলিম ৮০৭।
হজরত আবু মাসউদ (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “যে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত রাতে পাঠ করবে, তার জন্য এ দুটি আয়াত যথেষ্ট হবে; অর্থাৎ সারারাত সে জিন ও মানুষের অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে এবং প্রতিটি অপ্রিয় বিষয় থেকে তাকে হেফাজত করা হবে।
সহীহ বুখারি ও সহীহ মুসলিম।