সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ সহ pdf, সুরা ইয়াসিন বাংলা অনুবাদ সহ অডিও, সূরা ইয়াসিন বাংলা অনুবাদ সহ মন জুড়ানো তেলাওয়াত, সূরা ইয়াসিন আরবি ও বাংলা অনুবাদ,আমাদের এই সাইটে বাংলা ইমেজে আপনাদের সবাইকে আমন্ত্রণ আপনারা যে যে সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ সহ pdf সুরা ইয়াসিন বাংলা অনুবাদ সহ অডিও পেতে চান তাদের জন্য বাংলা ইমেজ নিয়ে আসলো সকল ধরনের তথ্য সুবিধা এক্ষেত্রে আপনারা যে যা চাচ্ছেন তা এখান থেকে পেয়ে যাবেন |
সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ সহ pdf
সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ সহ pdf সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ সহ pdf সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ সহ pdf বাংলা ইমেজ পেইজ থেকে আপনারা সহজেই সূরা ইয়াসিনের বাংলা উচ্চারণ সহ পিডিএফ গুলো নিয়ে নিতে পারেন কেননা সুরা ইয়াসিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সূরা এখান থেকে শিখতে হলে এটি নিতে পারেন |
সুরা ইয়াসিন
মক্কায় অবতীর্ণ
সূরা নংঃ- ০৩৬, আয়াত সংখ্যাঃ- ৮৩
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
يس
01
ইয়া-সী-ন্
ইয়া-সীন।
وَالْقُرْآنِ الْحَكِيمِ
02
অল্ ক্বর্ আ-নিল্ হাকীম্।
বিজ্ঞানময় কুরআনের শপথ।
إِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ
03
ইন্নাকা লামিনাল্ র্মুসালীন্।
নিশ্চয় তুমি রাসূলদের অন্তর্ভুক্ত।
عَلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ
04
‘আলা-ছির-ত্বিম্ মুস্তাক্বীম্ ।
সরল পথের উপর প্রতিষ্ঠিত।
تَنْزِيلَ الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ
05
তান্যীলাল্ ‘আযীর্যি রহীম্।
(এ কুরআন) মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়াময় (আল্লাহ) কর্তৃক নাযিলকৃত।
لِتُنْذِرَ قَوْمًا مَا أُنْذِرَ آبَاؤُهُمْ فَهُمْ غَافِلُونَ
06
লিতুন্যিরা ক্বওমাম্ মা য়উন্যিরা আ-বা-য়ুহুম্ ফাহুম্ গ-ফিলূন্ ।
যাতে তুমি এমন এক কওমকে সতর্ক কর, যাদের পিতৃপুরুষদেরকে সতর্ক করা হয়নি, কাজেই তারা উদাসীন।
لَقَدْ حَقَّ الْقَوْلُ عَلَى أَكْثَرِهِمْ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
07
লাক্বাদ্ হাকক্বল্ ক্বওলু ‘আলা য় আক্ছারিহিম্ ফাহুম্ লা-ইয়ুমিনূন্।
অবশ্যই তাদের অধিকাংশের উপর (আল্লাহর) বাণী অবধারিত হয়েছে, ফলে তারা ঈমান আনবে না।
إِنَّا جَعَلْنَا فِي أَعْنَاقِهِمْ أَغْلَالًا فَهِيَ إِلَى الْأَذْقَانِ فَهُمْ مُقْمَحُونَ
08
ইন্না-জ্বা‘আল্না-ফী য় আ’না-ক্বিহিম্ আগ্লা-লান্ ফাহিয়া ইলাল্ আয্ক্বা-নি ফাহুম্ মুকমাহূন্।
নিশ্চয় আমি তাদের গলায় বেড়ি পরিয়ে দিয়েছি এবং তা চিবুক পর্যন্ত। ফলে তারা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে আছে।
وَجَعَلْنَا مِنْ بَيْنِ أَيْدِيهِمْ سَدًّا وَمِنْ خَلْفِهِمْ سَدًّا فَأَغْشَيْنَاهُمْ فَهُمْ لَا يُبْصِرُونَ
09
অজ্বা‘আল্না-মিম্ বাইনি আইদী হিম্ সাদ্দাঁও মিন্ খল্ফিহিম্ সাদ্দান্ ফায়াগ্শাইনা-হুম ফাহুম্ লা-ইয়ুব্ছিরূন্।
আর আমি তাদের সামনে একটি প্রাচীর ও তাদের পিছনে একটি প্রাচীর স্থাপন করেছি, অতঃপর আমি তাদেরকে ঢেকে দিয়েছি, ফলে তারা দেখতে পায় না।
وَسَوَاءٌ عَلَيْهِمْ أَأَنْذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنْذِرْهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
10
অসাওয়া-য়ুন্ ‘আলাইহিম্ আ আর্ন্যাতাহুম্ আম্ লাম্ তুর্ন্যিহুম্ লা-ইয়ুমিনূন্।
আর তুমি তাদেরকে সতর্ক কর অথবা না কর তাদের কাছে দু’টোই সমান, তারা ঈমান আনবে না।
إِنَّمَا تُنْذِرُ مَنِ اتَّبَعَ الذِّكْرَ وَخَشِيَ الرَّحْمَنَ بِالْغَيْبِ فَبَشِّرْهُ بِمَغْفِرَةٍ وَأَجْرٍ كَرِيمٍ
11
ইন্নামা-তুন্যিরু মানিত্তাবা‘আয্ যিকর অখশির্য়া রাহ্মা-না বিল্গাইবি ফাবার্শ্শিহু বিমাগ্ফিরতিঁও অআজরিন্ কারীম্।
তুমি তো কেবল তাকেই সতর্ক করবে যে উপদেশ মেনে চলে এবং না দেখেও পরম করুণাময় আল্লাহকে ভয় করে। অতএব তাকে তুমি ক্ষমা ও সম্মানজনক পুরস্কারের সুসংবাদ দাও।
إِنَّا نَحْنُ نُحْيِي الْمَوْتَى وَنَكْتُبُ مَا قَدَّمُوا وَآثَارَهُمْ وَكُلَّ شَيْءٍ أحْصَيْنَاهُ فِي إِمَامٍ مُبِينٍ
12
ইন্না-নাহ্নু নুহ্য়িল্ মাওতা- অনাক্তুবু মা-ক্বাদ্দামূ অআ-ছা-রহুম্; অকুল্লা শাইয়িন্ আহ্ছোয়াইনা-হু ফী য় ইমা-মিম্ মুবীন্।
আমিই তো মৃতকে জীবিত করি আর লিখে রাখি যা তারা অগ্রে প্রেরণ করে এবং যা পিছনে রেখে যায়। আর প্রতিটি বস্তুকেই আমি সুস্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষণ করে রেখেছি।
وَاضْرِبْ لَهُمْ مَثَلًا أَصْحَابَ الْقَرْيَةِ إِذْ جَاءَهَا الْمُرْسَلُونَ
13
অদ্ব্রিব্ লাহুম্ মাছালান্ আছ্হা-বাল্ র্ক্বইয়াহ্; ইয্ জ্বা-য়াহাল্ র্মুসালূন্।
আর এক জনপদের অধিবাসীদের উপমা তাদের কাছে বর্ণনা কর, যখন তাদের কাছে রাসূলগণ এসেছিল।
إِذْ أَرْسَلْنَا إِلَيْهِمُ اثْنَيْنِ فَكَذَّبُوهُمَا فَعَزَّزْنَا بِثَالِثٍ فَقَالُوا إِنَّا إِلَيْكُمْ مُرْسَلُونَ
14
ইয্ র্আসালনা য় ইলাইহিমুছ্ নাইনি ফাকায্যাবূহুমা- ফা‘আয্যায্না-বিছা-লিছিন্ ফাক্ব-লূ য় ইন্না য় ইলাইকুম্ র্মুসালূন্।
যখন আমি তাদের কাছে দু’জন রাসূল পাঠিয়েছিলাম, তখন তারা তাদেরকে মিথ্যাবাদী বলেছিল। তারপর আমি তাদেরকে তৃতীয় একজনের মাধ্যমে শক্তিশালী করেছিলাম। অতঃপর তারা বলেছিল, ‘নিশ্চয় আমরা তোমাদের প্রতি প্রেরিত রাসূল’।
قَالُوا مَا أَنْتُمْ إِلَّا بَشَرٌ مِثْلُنَا وَمَا أَنْزَلَ الرَّحْمَنُ مِنْ شَيْءٍ إِنْ أَنْتُمْ إِلَّا تَكْذِبُونَ
15
ক্বা-লূ মা য় আন্তুম ইল্লা-বাশারুম্ মিছ্লুনা- অমা য় আন্যার্লা রহ্মা-নু মিন্ শাইয়িন্ ইন্ আন্তুম ইল্লা-তাক্যিবূন্।
তারা বলল, ‘তোমরা তো আমাদের মতই মানুষ। আর পরম করুণাময় তো কিছুই নাযিল করেননি। তোমরা শুধু মিথ্যাই বলছ।
قَالُوا رَبُّنَا يَعْلَمُ إِنَّا إِلَيْكُمْ لَمُرْسَلُونَ
16
ক্ব-লূ রব্বুনা-ইয়া’লামু ইন্না য় ইলাইকুম্ লার্মুসালূন্।
তারা বলল, ‘আমাদের রব জানেন, অবশ্যই আমরা তোমাদের কাছে প্রেরিত রাসূল’।
وَمَا عَلَيْنَا إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ
17
অমা- ‘আলাইনা য় ইল্লাল্ বালা-গুল্ মুবীন্।
‘আর সুস্পষ্টভাবে পৌঁছিয়ে দেয়াই আমাদের দায়িত্ব’।
قَالُوا إِنَّا تَطَيَّرْنَا بِكُمْ لَئِنْ لَمْ تَنْتَهُوا لَنَرْجُمَنَّكُمْ وَلَيَمَسَّنَّكُمْ مِنَّا عَذَابٌ أَلِيمٌ
18
ক্ব-লূ য় ইন্না-তাত্বোয়াইর্য়্যানা-বিকুম্, লায়িল্লাম্ তান্তাহূ লার্না জুমান্নাকুম্ অলা-ইয়ামাস্ সান্নাকুম্ মিন্না-‘আযা- বুন্ আলীম্।
তারা বলল, ‘আমরা তো তোমাদেরকে অমঙ্গলের কারণ মনে করি। তোমরা যদি বিরত না হও তাহলে আমরা অবশ্যই তোমাদেরকে পাথর মেরে হত্যা করব এবং আমাদের পক্ষ থেকে তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব স্পর্শ করবে’।
قَالُوا طَائِرُكُمْ مَعَكُمْ أَئِنْ ذُكِّرْتُمْ بَلْ أَنْتُمْ قَوْمٌ مُسْرِفُونَ
19
ক্ব-লূ ত্বোয়া-য়িরুকুম্ মা‘আকুম্ আয়িন্ যুর্ক্কিতুম্; বাল্ আন্তুম্ ক্বওমুম্ মুস্রিফূন্।
তারা বলল, তোমাদের অমঙ্গলের কারণ তোমাদের সাথেই। তোমাদেরকে উপদেশ দেয়া হয়েছে বলেই কি এরূপ বলছ? বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী কওম’।
وَجَاءَ مِنْ أَقْصَى الْمَدِينَةِ رَجُلٌ يَسْعَى قَالَ يَا قَوْمِ اتَّبِعُوا الْمُرْسَلِينَ
20
অজ্বা-য়া মিন্ আকছোয়াল্ মাদীনাতি রাজুলুঁই ইয়াস্‘আ-ক্ব-লা ইয়া-ক্বওমিত তাবি‘উল্ মুরসালীন্
আর শহরের দূরপ্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি দৌড়ে এসে বলল, ‘হে আমার কওম! তোমরা রাসূলদের অনুসরণ কর।
اتَّبِعُوا مَنْ لَا يَسْأَلُكُمْ أَجْرًا وَهُمْ مُهْتَدُونَ
21
ইত্তাবি‘ঊ মাল্লা-ইয়াস্য়ালুকুম্ আজরঁও অহুম্ মুহ্তাদূন্।
‘তোমরা তাদের অনুসরণ কর যারা তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চায় না আর তারা সৎপথপ্রাপ্ত’।
وَمَا لِيَ لَا أَعْبُدُ الَّذِي فَطَرَنِي وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
22
অমা-লিয়া লা য় আ’বুদুল্লাযী ফাত্বোয়ারানী অ ইলাইহি র্তুজ্বা‘ঊন্।
‘আর আমি কেন তাঁর ইবাদাত করব না যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন? আর তাঁর কাছেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে’।
أَأَتَّخِذُ مِنْ دُونِهِ آلِهَةً إِنْ يُرِدْنِ الرَّحْمَنُ بِضُرٍّ لَا تُغْنِ عَنِّي شَفَاعَتُهُمْ شَيْئًا وَلَا يُنْقِذُونِ
23
আ আত্তাখিযু মিন্ দূনিহী য় আ- লিহাতান্ ইঁইয়্যুরির্দ্নি রহমা-নু বির্দ্বুরিল্ লা-তুগ্নি ‘আন্নী শাফা-‘আতুহুম্ শাইয়াঁও অলা-ইয়ুন্ক্বিযূন্।
আমি কি তাঁর পরিবর্তে অন্য ইলাহ গ্রহণ করব? যদি পরম করুণাময় আমার কোন ক্ষতি করার ইচ্ছা করেন, তাহলে তাদের সুপারিশ আমার কোন কাজে আসবে না এবং তারা আমাকে উদ্ধারও করতে পারবে না’।
إِنِّي إِذًا لَفِي ضَلَالٍ مُبِينٍ
24
ইন্নী য় ইযাল্লাফী দ্বলা-লিম্ মুবীন্।
‘এরূপ করলে নিশ্চয় আমি স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পতিত হব’।
إِنِّي آمَنْتُ بِرَبِّكُمْ فَاسْمَعُونِ
25
ইন্নী য় আ-মান্তু বিরব্বিকুম্ ফাস্মা‘ঊন্।
‘নিশ্চয় আমি তোমাদের রবের প্রতি ঈমান এনেছি, অতএব তোমরা আমার কথা শোন’।
قِيلَ ادْخُلِ الْجَنَّةَ قَالَ يَا لَيْتَ قَوْمِي يَعْلَمُونَ
26
ক্বীলাদ্ খুলিল্ জ্বান্নাহ্; ক্ব-লা ইয়ালাইতা ক্বওমী ইয়া’লামূন্।
তাকে বলা হল, ‘জান্নাতে প্রবেশ কর’। সে বলল, ‘হায়! আমার কওম যদি জানতে পারত’,
بِمَا غَفَرَ لِي رَبِّي وَجَعَلَنِي مِنَ الْمُكْرَمِينَ
27
বিমা-গফারলী রব্বী অ জ্বা‘আলানী মিনাল্ মুক্রমীন্।
‘আমার রব আমাকে কিসের বিনিময়ে ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং আমাকে সম্মানিতদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন’।
وَمَا أَنْزَلْنَا عَلَى قَوْمِهِ مِنْ بَعْدِهِ مِنْ جُنْدٍ مِنَ السَّمَاءِ وَمَا كُنَّا مُنْزِلِينَ
28
অমা য় আন্যাল্না ‘আলা- ক্বওমিহী মিম্ বা’দিহী মিন্ জুন্দিম্ মিনাস্ সামা-য়ি অমা- কুন্না-মুন্যিলীন্।
আর আমি তার (মৃত্যুর) পর তার কওমের বিরুদ্ধে আসমান থেকে কোন সৈন্য পাঠাইনি। আর তা পাঠানোর কোন দরকারও আমার ছিল না।
إِنْ كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ خَامِدُونَ
29
ইন্ কা-নাত্ ইল্লা-ছোয়াইহাতাঁও ওয়া-হিদাতান্ ফাইযা-হুম্ খ-মিদূন্।
তা ছিল শুধুই একটি বিকট আওয়াজ, ফলে তারা নিথর-নিস্তব্ধ হয়ে পড়ল।
يَا حَسْرَةً عَلَى الْعِبَادِ مَا يَأْتِيهِمْ مِنْ رَسُولٍ إِلَّا كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِئُونَ
30
ইয়া-হাস্রতান্ ‘আলাল্ ‘ইবা-দি মা-ইয়াতীহিম্ র্মি রসূলিন্ ইল্লা-কা-নূ বিহী ইয়াস্তাহ্যিয়ূন্।
আফসোস, বান্দাদের জন্য! যখনই তাদের কাছে কোন রাসূল এসেছে তখনই তারা তাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেছে।
সুরা ইয়াসিন বাংলা অনুবাদ সহ অডিও
সুরা ইয়াসিন বাংলা অনুবাদ সহ অডিও সুরা ইয়াসিন বাংলা অনুবাদ সহ অডিও সুরা ইয়াসিন বাংলা অনুবাদ সহ অডিও এ পেজ থেকে সূরা ইয়াসিনের অনুবাদ সহ বাংলা সবকিছু দেওয়া আছে তা থেকে আপনারা সহজেই তা বের করে নিয়ে নিতে পারেন কেননা সূরা ইয়াসিন অনুবাদ সহ বাংলা যদি না পড়া হয় তাহলে পুরাটা অর্থ কোন কিছু বোঝা যায় না অনুবাদ সহকারে এই পেজে আপনারা তা পেয়ে যাবেন |
أَلَمْ يَرَوْا كَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُمْ مِنَ الْقُرُونِ أَنَّهُمْ إِلَيْهِمْ لَا يَرْجِعُونَ
31
আলাম্ ইয়ারও কাম্ আহ্লাক্না-ক্বব্লাহুম্ মিনাল্ কুরূনি আন্নাহুম্ ইলাইহিম্ লা-ইর্য়াজ্বি‘ঊন্।
তারা কি লক্ষ্য করেনি যে, আমি তাদের পূর্বে কত প্রজন্মকে ধ্বংস করেছি, নিশ্চয় যাঁরা তাদের কাছে ফিরে আসবে না।
وَإِنْ كُلٌّ لَمَّا جَمِيعٌ لَدَيْنَا مُحْضَرُونَ
32
অইন্ কুল্লুল্লাম্মা-জ্বামী‘উল্লাদাইনা-মুহ্দ্বোয়ারূন্।
আর তাদের সকলকে একত্রে আমার কাছে হাযির করা হবে।
وَآيَةٌ لَهُمُ الْأَرْضُ الْمَيْتَةُ أَحْيَيْنَاهَا وَأَخْرَجْنَا مِنْهَا حَبًّا فَمِنْهُ يَأْكُلُونَ
33
অ আ-ইয়াতু ল্লাহুমুল্ র্আদুল্ মাইতাতু আহ্ইয়াইনা-হা অ আখ্রজনা-মিন্হা-হাব্বান্ ফামিন্হু ইয়াকুলূন্।
আর মৃত যমীন তাদের জন্য একটি নিদর্শন, আমি তাকে জীবিত করেছি এবং তা থেকে শস্যদানা উৎপন্ন করেছি। অতঃপর তা থেকেই তারা খায়।
وَجَعَلْنَا فِيهَا جَنَّاتٍ مِنْ نَخِيلٍ وَأَعْنَابٍ وَفَجَّرْنَا فِيهَا مِنَ الْعُيُونِ
34
অজ্বা‘আল্না- ফীহা-জ্বান্না-তিম্ মিন্ নাখীলিঁও অআ’না বিঁও অফার্জ্জ্বানা-ফীহা-মিনাল্ ‘উইয়ূন্।
আর আমি তাতে খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান তৈরী করেছি এবং তাতে কিছু ঝর্নাধারা প্রবাহিত করি।
لِيَأْكُلُوا مِنْ ثَمَرِهِ وَمَا عَمِلَتْهُ أَيْدِيهِمْ أَفَلَا يَشْكُرُونَ
35
লিয়াকুলূ মিন্ ছামারিহী অমা ‘আমিলাত্হু আইদীহিম্; আফালা-ইয়াশ্কুরূন্।
যাতে তারা তার ফল খেতে পারে, অথচ তাদের হাত তা বানায়নি। তবুও কি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে না?
سُبْحَانَ الَّذِي خَلَقَ الْأَزْوَاجَ كُلَّهَا مِمَّا تُنْبِتُ الْأَرْضُ وَمِنْ أَنْفُسِهِمْ وَمِمَّا لَا يَعْلَمُونَ
36
সুব্হা-নাল্লাযী খলাক্বল্ আয্ওয়াজ্বা কুল্লাহা-মিম্মা-তুম্বিতুল্ র্আদু অমিন্ আন্ফুসিহিম্ অমিম্মা-লা-ইয়া’লামূন্।
পবিত্র ও মহান সে সত্তা যিনি সকল জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছেন, যমীন যা উৎপন্ন করেছে তা থেকে, মানুষের নিজদের মধ্য থেকে এবং সে সব কিছু থেকেও যা তারা জানে না ।
وَآيَةٌ لَهُمُ اللَّيْلُ نَسْلَخُ مِنْهُ النَّهَارَ فَإِذَا هُمْ مُظْلِمُونَ
37
অআ-ইয়াতুল্লা হুমুল্ লাইলু নাস্লাখু মিন্ হুন্নাহা-র ফাইযা-হুম্ মুজ্লিমূন্
আর রাত তাদের জন্য একটি নিদর্শন; আমি তা থেকে দিনকে সরিয়ে নেই, ফলে তখনই তারা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়।
وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَهَا ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ
38
অশ্শাম্সু তাজ্ব্রী লিমুস্তার্ক্বরিল্লাহা-; যা-লিকা তাকদীরুল্ ‘আযীযিল্ ‘আলীম্।
আর সূর্য ভ্রমণ করে তার নির্দিষ্ট পথে, এটা মহাপরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ (আল্লাহ)-র নির্ধারণ।
وَالْقَمَرَ قَدَّرْنَاهُ مَنَازِلَ حَتَّى عَادَ كَالْعُرْجُونِ الْقَدِيمِ
39
অল্ ক্বমার ক্বর্দ্দানা-হু মানা-যিলা হাত্তা- ‘আ-দা কাল্ ‘র্উজুনিল্ ক্বদীম্।
আর চাঁদের জন্য আমি নির্ধারণ করেছি মানযিলসমূহ, অবশেষে সেটি খেজুরের শুষ্ক পুরাতন শাখার মত হয়ে যায়।
لَا الشَّمْسُ يَنْبَغِي لَهَا أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ
40
লাশ্ শাম্সু ইয়াম্বাগী লাহা য় আন্ তুদ্রিকাল্ ক্বমার অলাল্লাইলু সা-বিকুন্ নাহার্-; অ কুল্লুন্ ফী ফালাকিইঁ ইয়াস্বাহূন্।
সূর্যের জন্য সম্ভব নয় চাঁদের নাগাল পাওয়া, আর রাতের জন্য সম্ভব নয় দিনকে অতিক্রম করা, আর প্রত্যেকেই কক্ষ পথে ভেসে বেড়ায়।
সূরা ইয়াসিন বাংলা অনুবাদ সহ মন জুড়ানো তেলাওয়াত
সূরা ইয়াসিন বাংলা অনুবাদ সহ মন জুড়ানো তেলাওয়াত সূরা ইয়াসিন বাংলা অনুবাদ সহ মন জুড়ানো তেলাওয়াত সূরা ইয়াসিন বাংলা অনুবাদ সহ মন জুড়ানো তেলাওয়াত সূরা ইয়াসিনের এমন এক সূরা শুনলে মন কেন আত্মা সহ মুগ্ধ হয়ে যায় সূরা ইয়াসিনের শক্তিশালী দোয়া গুলো আছে যেটা থেকে মানব জীবনের মানুষের অনেক উপকারিতা আছে সূরা ইয়াসিনের সবচেয়ে বড় হিসাবে গণনা করা হয় সূরা ইয়াসিনের তুলনা হয়না অনেক ফজিলত রয়েছে |
آيَةٌ لَهُمْ أَنَّا حَمَلْنَا ذُرِّيَّتَهُمْ فِي الْفُلْكِ الْمَشْحُونِ
41
অ আ-ইয়াতুল্লাহুম্ আন্না-হামাল্না র্যুরিয়্যাতাহুম্ ফিল্ ফুল্কিল্ মাশ্হূন্।
আর তাদের জন্য একটি নিদর্শন হল, অবশ্যই আমি তাদের বংশধরদেরকে ভরা নৌকায় আরোহণ করিয়েছিলাম।
وَخَلَقْنَا لَهُمْ مِنْ مِثْلِهِ مَا يَرْكَبُونَ
42
অখলাক্ব্না-লাহুম্ মিম্ মিছ্লিহী মা-ইর্য়াকাবূন্।
আর তাদের জন্য তার অনুরূপ (যানবাহন) সৃষ্টি করেছি, যাতে তারা আরোহণ করে।
وَإِنْ نَشَأْ نُغْرِقْهُمْ فَلَا صَرِيخَ لَهُمْ وَلَا هُمْ يُنْقَذُونَ
43
অইন্ নাশানুগ্রিক হুম্ ফালা-ছোয়ারীখ লাহুম্ অলা-হুম্ ইয়ুন্ক্বযূন্।
আর যদি আমি চাই তাদেরকে নিমজ্জিত করে দেই, তখন তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী থাকে না এবং তাদেরকে উদ্ধারও করা হয় না।
إِلَّا رَحْمَةً مِنَّا وَمَتَاعًا إِلَى حِينٍ
44
ইল্লা-রহ্মাতাম্ মিন্না- অমাতা-‘আন্ ইলা-হীন্।
যদি না আমার পক্ষ থেকে রহমত হয় এবং কিছু সময়ের জন্য উপভোগের সুযোগ দেয়া হয়।
وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّقُوا مَا بَيْنَ أَيْدِيكُمْ وَمَا خَلْفَكُمْ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
45
অইযা-ক্বীলা লাহুমুত্তাকু মা-বাইনা আইদীকুম্ অমা-খল্ফাকুম্ লা‘আল্লাকুম্ র্তুহামূন্।
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, যা তোমাদের সামনে আছে এবং যা তোমাদের পিছনে আছে সে বিষয়ে সতর্ক হও, যাতে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করা যায়।
وَمَا تَأْتِيهِمْ مِنْ آيَةٍ مِنْ آيَاتِ رَبِّهِمْ إِلَّا كَانُوا عَنْهَا مُعْرِضِينَ
46
অমা-তাতীহিম্ মিন্ আ-ইয়া-তীম্ মিন্ আ-ইয়া-তি রব্বিহিম্ ইল্লা-কা-নূ ‘আন্হা-মু’রিদ্বীন্।
আর তাদের রবের নিদর্শনসমূহ থেকে তাদের কাছে কোন নিদর্শন আসলেই তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ أَنْفِقُوا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ قَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِلَّذِينَ آمَنُوا أَنُطْعِمُ مَنْ لَوْ يَشَاءُ اللَّهُ أَطْعَمَهُ إِنْ أَنْتُمْ إِلَّا فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ
47
অ ইযা- ক্বীলা লাহুম্ আনফিকু মিম্মা-রযাক্ব কুমুল্লা-হু ক্ব-লাল্লাযীনা কাফারূ লিল্লাযীনা আ-মানূ য় আনুত্ব‘ইমু মাল্লাও ইয়াশা-য়ুল্লা-হু আত্ব্‘আমাহূ য় ইন্ আন্তুম্ ইল্লা-ফী দ্বোয়ালা-লিম্ মুবীন্।
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ তোমাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছেন তা থেকে তোমরা ব্যয় কর’, তখন কাফিররা মুমিনদেরকে বলে, ‘আমরা কি তাকে খাদ্য দান করব, আল্লাহ চাইলে যাকে খাদ্য দান করতেন? তোমরা তো স্পষ্ট পথভ্রষ্টতায় রয়েছ’।
وَيَقُولُونَ مَتَى هَذَا الْوَعْدُ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ
48
অ ইয়াকুলূনা মাতা-হা-যাল্ ওয়া’দু ইন্ কুন্তুম্ ছোয়া-দিক্বীন্
আর তারা বলে, ‘এ ওয়াদা কখন বাস্তবায়িত হবে’? (তা বল) ‘যদি তোমরা সত্যবাদী হও’।
مَا يَنْظُرُونَ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً تَأْخُذُهُمْ وَهُمْ يَخِصِّمُونَ
49
মা-ইয়ান্জুরূনা ইল্লা-ছোয়াইঁহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান্ তাখুযুহুম্ অহুম্ ইয়াখিছ্ছিমূন্।
তারা তো কেবল এক বিকট আওয়াজের অপেক্ষা করছে যা তাদেরকে বাক-বিতণ্ডায় লিপ্ত অবস্থায় পাকড়াও করবে।
فَلَا يَسْتَطِيعُونَ تَوْصِيَةً وَلَا إِلَى أَهْلِهِمْ يَرْجِعُونَ
50
ফালা-ইয়াস্তাত্বী‘ঊনা তাওছিয়াতাঁও অলা য় ইলা য় আহ্লিহিম্ ইর্য়াজ্বি‘ঊন্।
সুতরাং না পারবে তারা ওসিয়াত করতে এবং না পারবে তাদের পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরে যেতে।
وَنُفِخَ فِي الصُّورِ فَإِذَا هُمْ مِنَ الْأَجْدَاثِ إِلَى رَبِّهِمْ يَنْسِلُونَ
51
অনুফিখ ফিছ্ ছূরি ফাইযা-হুম্ মিনাল্ আজদা-ছি ইলা-রব্বিহিম্ ইয়ান্সিলূন্।
আর শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে, তৎক্ষণাৎ তারা কবর থেকে তাদের রবের দিকে ছুটে আসবে।
قَالُوا يَا وَيْلَنَا مَنْ بَعَثَنَا مِنْ مَرْقَدِنَا هَذَا مَا وَعَدَ الرَّحْمَنُ وَصَدَقَ الْمُرْسَلُونَ
52
ক্ব-লূ ইয়া-অইলানা-মাম্ বা‘আছানা-মিম্ র্মাক্বদিনা-,হা-যা-মা-অ‘আর্দা রহ্মা-নু অ ছদাক্বাল্ র্মুসালূন্।
তারা বলবে, ‘হায় আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদেরকে আমাদের নিদ্রাস্থল থেকে উঠালো’? (তাদেরকে বলা হবে) ‘এটা তো তা যার ওয়াদা পরম করুনাময় করেছিলেন এবং রাসূলগণ সত্য বলেছিলেন’।
إِنْ كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ جَمِيعٌ لَدَيْنَا مُحْضَرُونَ
53
ইন্ কা- নাত্ ইল্লা- ছোয়াইহাতাঁও ওয়া-দাহিদাতান্ ফাইযা-হুম্ জ্বামী‘উল্ লাদাইনা-মুহ্দ্বোয়ারূন্।
তা ছিল শুধুই একটি বিকট আওয়াজ, ফলে তৎক্ষণাৎ তাদের সকলকে আমার সামনে উপস্থিত করা হবে।
فَالْيَوْمَ لَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا وَلَا تُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ
54
ফাল্ ইয়াওমা লা-তুজ্লামু নাফ্সুন্ শাইয়াঁও অলা-তুজযাওনা ইল্লা-মা-কুন্তুম্ তা’মালূন্।
সুতরাং আজ কাউকেই কোন যুলম করা হবে না এবং তোমরা যা আমল করছিলে শুধু তারই প্রতিদান তোমাদের দেয়া হবে।
إِنَّ أَصْحَابَ الْجَنَّةِ الْيَوْمَ فِي شُغُلٍ فَاكِهُونَ
55
ইন্না আছ্হা-বাল্ জ্বান্নাতিল্ ইয়াওমা ফী শুগুলিন্ ফাকিহূন্।
নিশ্চয় জান্নাতবাসীরা আজ আনন্দে মশগুল থাকবে।
هُمْ وَأَزْوَاجُهُمْ فِي ظِلَالٍ عَلَى الْأَرَائِكِ مُتَّكِئُونَ
56
হুম্ অআয্ওয়া-জুহুম্ ফী জিলা-লিন্ ‘আলাল্ আর-য়িকি মুত্তাকিয়ূন্।
তারা ও তাদের স্ত্রীরা ছায়ার মধ্যে সুসজ্জিত আসনে হেলান দিয়ে উপবিষ্ট থাকবে।
لَهُمْ فِيهَا فَاكِهَةٌ وَلَهُمْ مَا يَدَّعُونَ
57
লাহুম্ ফীহা-ফা-কিহাতুঁও অলাহুম্ মা- ইয়াদ্দা‘ঊন্।
সেখানে তাদের জন্য থাকবে ফল-ফলাদি এবং থাকবে তারা যা চাইবে তাও।
سَلَامٌ قَوْلًا مِنْ رَبٍّ رَحِيمٍ
58
সালা-মুন্ ক্বওলাম্ র্মি রর্ব্বি রহীম্।
অসীম দয়ালু রবের পক্ষ থেকে বলা হবে, ‘সালাম’।
وَامْتَازُوا الْيَوْمَ أَيُّهَا الْمُجْرِمُونَ
59
ওয়াম্তা-যুল্ ইয়াওমা আইয়ুহাল্ মুজরিমূন্।
আর [বলা হবে] ‘হে অপরাধীরা, আজ তোমরা পৃথক হয়ে যাও’।
أَلَمْ أَعْهَدْ إِلَيْكُمْ يَا بَنِي آدَمَ أَنْ لَا تَعْبُدُوا الشَّيْطَانَ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ
60
আলাম্ আ’হাদ্ ইলাইকুম্ ইয়া-বানী য় আ-দামা আল্লা-তা’বুদুশ্ শাইত্বোয়া-না ইন্নাহূ লাকুম্ ‘আদুওয়্যুম্ মুবীন্।
হে বনী আদম, আমি কি তোমাদেরকে এ মর্মে নির্দেশ দেইনি যে, ‘তোমরা শয়তানের উপাসনা করো না। নিঃসন্দেহে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্র“’?
সূরা ইয়াসিন আরবি ও বাংলা অনুবাদ
সূরা ইয়াসিন আরবি ও বাংলা অনুবাদ সূরা ইয়াসিন আরবি ও বাংলা অনুবাদ সূরা ইয়াসিন আরবি ও বাংলা অনুবাদ এপিজে সূরা ইয়াসিন আরবি বাংলা অনুবাদ গুলো দেওয়া হল এখান থেকে আপনারা তা নিয়ে নিতে পারেন কেননা মানবজীবনে সূরা ইয়াসিনের গুরুত্বপূর্ণ সূরা ইয়াসিন দ্বারা আমরা আমাদের জীবনের অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারি কেননা এগুলো অনুবাদ থেকে আমরা জানতে পারি তাই সুরা ইয়াসিন খুবই শক্তিশালী দোয়া আমাদের মানব জীবনে অনেক উপকারে আসে সূরা ইয়াসিন সূরা করা হয় তাই তার তুলনাই হয় না এটি অতুলনীয় সুরা ইয়াসিন মুখস্ত করতে পারে তাকে শুভাগ্য মনে হয় আর কারো হবে না কেননা সূরা ইয়াসিনের ফজিলত বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার কোন না কারো সাথে করা যাবে না অত্যন্ত শক্তিশালী |
وَأَنِ اعْبُدُونِي هَذَا صِرَاطٌ مُسْتَقِيمٌ
61
অআ নি’বুদূনী হা-যা-ছির- তুম্ মুস্তাক্বীম্।
আর আমারই ইবাদাত কর। এটিই সরল পথ।
وَلَقَدْ أَضَلَّ مِنْكُمْ جِبِلًّا كَثِيرًا أَفَلَمْ تَكُونُوا تَعْقِلُونَ
62
অলাক্বদ্ আদ্বোয়াল্লা মিন্কুম্ জ্বিবিল্লান্ কাছীর-; আফালাম্ তাকূনূ তা’ক্বিলূন্।
আর অবশ্যই শয়তান তোমাদের বহু দলকে পথভ্রষ্ট করেছে। তবুও কি তোমরা অনুধাবন করনি?
هَذِهِ جَهَنَّمُ الَّتِي كُنْتُمْ تُوعَدُونَ
63
হা-যিহী জ্বাহান্নামুল্লাতী কুন্তুম্ তূ‘আদূন্।
এটি সেই জাহান্নাম যার সম্পর্কে তোমরা ওয়াদাপ্রাপ্ত হয়েছিলে।
اصْلَوْهَا الْيَوْمَ بِمَا كُنْتُمْ تَكْفُرُونَ
64
ইছ্লাওহাল্ ইয়াওমা বিমা-কুন্তুম্ তাক্ফুরূন্।
তোমরা যে কুফরী করতে সে কারণে আজ তোমরা এতে প্রবেশ কর।
الْيَوْمَ نَخْتِمُ عَلَى أَفْوَاهِهِمْ وَتُكَلِّمُنَا أَيْدِيهِمْ وَتُكَلِّمُنَا أَيْدِيهِمْ وَتَشْهَدُ أَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ
65
আল্ইয়াওমা নাখ্তিমু ‘আলা য় আফ্ওয়া-হিহিম্ অ তুকাল্লিমুনা য় আইদীহিম্ অতাশ্হাদু র্আজুলুহুম্ বিমা-কা-নূ ইয়াক্সিবূন্।
আজ আমি তাদের মুখে মোহর মেরে দেব এবং তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে ও তাদের পা সে সম্পর্কে সাক্ষ্য দেবে যা তারা অর্জন করত।
وَلَوْ نَشَاءُ لَطَمَسْنَا عَلَى أَعْيُنِهِمْ فَاسْتَبَقُوا الصِّرَاطَ فَأَنَّى يُبْصِرُونَ
66
অলাও নাশা-য়ু লাত্বোয়ামাস্না-‘আলা য় আ’ ইয়ুনিহিম্ ফাস্তাবাক্বছ্ ছির-ত্বোয়া ফাআন্না-ইয়ুব্ছিরূন্।
আর যদি আমি চাইতাম তবে তাদের চোখসমূহ অন্ধ করে দিতাম। তখন এরা পথের অন্বেষণে দৌড়ালে কী করে দেখতে পেত?
وَلَوْ نَشَاءُ لَمَسَخْنَاهُمْ عَلَى مَكَانَتِهِمْ فَمَا اسْتَطَاعُوا مُضِيًّا وَلَا يَرْجِعُونَ
67
অলাও নাশা-য়ু লামাসাখ্না-হুম্ ‘আলা-মাকা-নাতিহিম্ ফামাস্ তাত্বোয়া-‘ঊ মুদ্বিয়্যাওঁ অলা- ইর্য়াজ্বি‘ঊন্।
আর আমি যদি চাইতাম তবে তাদের স্ব স্ব স্থানে তাদেরকে বিকৃত করে দিতাম। ফলে তারা সামনেও এগিয়ে যেতে পারত না এবং পিছনেও ফিরে আসতে পারত না।
وَمَنْ نُعَمِّرْهُ نُنَكِّسْهُ فِي الْخَلْقِ أَفَلَا يَعْقِلُونَ
68
অ মান্ নু‘আ র্ম্মিহু নুনাক্কিস্হু ফিল্ খল্ক্ব ; আফালা-ইয়া’ক্বিলূন্।
আর আমি যাকে দীর্ঘ জীবন দান করি, সৃষ্টি-অবয়বে আমি তার পরিবর্তন ঘটাই। তবুও কি তারা বুঝবে না
وَمَا عَلَّمْنَاهُ الشِّعْرَ وَمَا يَنْبَغِي لَهُ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْآنٌ مُبِينٌ
69
অমা-‘আল্লাম্না-হুশ্ শি’রা অমা-ইয়াম্বাগী লাহ্; ইন্ হুওয়া ইল্লা-যিক্রুঁও অক্বর্ আ-নুম্ মুবীন্।
আমি রাসূলকে কাব্য শিখাইনি এবং এটি তার জন্য শোভনীয়ও নয়। এ তো কেবল এক উপদেশ ও স্পষ্ট কুরআন মাত্র।
لِيُنْذِرَ مَنْ كَانَ حَيًّا وَيَحِقَّ الْقَوْلُ عَلَى الْكَافِرِينَ
70
লিইয়ুন্যির মান্ কা-না হাইয়্যাঁও অ ইয়াহিকক্বল্ ক্বওলু ‘আলাল্ কা-ফিরীন্।
যাতে তা সতর্ক করতে পারে ঐ ব্যক্তিকে যে জীবিত এবং যাতে কাফিরদের বিরুদ্ধে অভিযোগবাণী প্রমাণিত হয়।
أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّا خَلَقْنَا لَهُمْ مِمَّا عَمِلَتْ أَيْدِينَا أَنْعَامًا فَهُمْ لَهَا مَالِكُونَ
71
আওয়া লাম্ ইয়ারাও আন্না-খলাক্না-লাহুম্ মিম্মা-‘আমিলাত্ আইদীনা য় আন্‘আ-মান্ ফাহুম্ লাহা-মা-লিকূন্।
তারা কি দেখেনি, আমার হাতের তৈরী বস্তুসমূহের মধ্যে আমি তাদের জন্য চতুষ্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছি। অতঃপর তারা হল এগুলোর মালিক।
وَذَلَّلْنَاهَا لَهُمْ فَمِنْهَا رَكُوبُهُمْ وَمِنْهَا يَأْكُلُونَ
72
অ যাল্লাল্না-হা লাহুম্ ফামিন্হা- রকূবুহুম্ অ মিন্হা-ইয়াকুলূন্।
আর আমি এগুলোকে তাদের বশীভূত করে দিয়েছি। ফলে এদের কতক তাদের বাহন এবং কতক তারা ভক্ষণ করে।
وَلَهُمْ فِيهَا مَنَافِعُ وَمَشَارِبُ أَفَلَا يَشْكُرُونَ
73
অলাহুম্ ফীহা-মানা-ফি‘ঊ অমাশা-রিব্; আফালা- ইয়াশ্কুরূন্।
আর তাদের জন্য এগুলোতে রয়েছে আরও বহু উপকারিতা ও পানীয় উপাদান। তবুও কি তারা শোকর আদায় করবে না?
وَاتَّخَذُوا مِنْ دُونِ اللَّهِ آلِهَةً لَعَلَّهُمْ يُنْصَرُونَ
74
অত্তাখযূ মিন্ দূনিল্লা-হি আ-লিহাতাল্ লা‘আল্লাহুম্ ইয়ুন্ছোয়ারূন্।
অথচ তারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্য সব ইলাহ গ্রহণ করেছে, এই প্রত্যাশায় যে, তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।
لَا يَسْتَطِيعُونَ نَصْرَهُمْ وَهُمْ لَهُمْ جُنْدٌ مُحْضَرُونَ
75
লা-ইয়াস্তাত্বী‘ঊনা নাছ্রহুম্ অহুম্ লাহুম্ জ্বুন্দুম্ মুহ্দ্বোয়ারূন্।
এরা তাদের কোন সাহায্য করতে সক্ষম হবে না, বরং এগুলোকে তাদের বিরুদ্ধে বাহিনীরূপে হাযির করা হবে।
فَلَا يَحْزُنْكَ قَوْلُهُمْ إِنَّا نَعْلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعْلِنُونَ
76
ফালা- ইয়াহ্যুন্কা ক্বওলুহুম্; ইন্না-না’লামু মা-ইয়ুর্সিরূনা অমা-ইয়ু’লিনূন্।
সুতরাং তাদের কথা তোমাকে যেন চিন্তিত না করে, নিশ্চয় আমি জানি তারা যা গোপন করে এবং যা প্রকাশ করে।
أَوَلَمْ يَرَ الْإِنْسَانُ أَنَّا خَلَقْنَاهُ مِنْ نُطْفَةٍ فَإِذَا هُوَ خَصِيمٌ مُبِينٌ
77
আওয়ালাম্ ইয়ারল্ ইন্সা-নু আন্না-খলাক্ব্ না-হু মিন্ নুত্ব্ ফাত্ব্ন্ ফাইযা-হুঅ খছীমুম্ মুবীন্।
মানুষ কি দেখেনি যে, আমি তাকে সৃষ্টি করেছি শুক্রবিন্দু থেকে? অথচ সে (বনে যায়) একজন প্রকাশ্য কুটতর্ককারী।
وَضَرَبَ لَنَا مَثَلًا وَنَسِيَ خَلْقَهُ قَالَ مَنْ يُحْيِي الْعِظَامَ وَهِيَ رَمِيمٌ
78
অ দ্বোয়ারাবা লানা-মাছালাঁও অ নাসিয়া খল্ক্বাহ্; ক্ব-লা মাইঁ ইয়ুহ্য়িল্ ‘ইজোয়া-মা অহিয়া রমীম্।
আর সে আমার উদ্দেশ্যে উপমা পেশ করে, অথচ সে তার নিজের সৃষ্টি ভুলে যায়। সে বলে, ‘হাড়গুলো জরাজীর্ণ হওয়া অবস্থায় কে সেগুলো জীবিত করবে’?
قُلْ يُحْيِيهَا الَّذِي أَنْشَأَهَا أَوَّلَ مَرَّةٍ وَهُوَ بِكُلِّ خَلْقٍ عَلِيمٌ
79
কুল্ ইয়ুহ্য়ীহাল্লাযী য় আন্শায়াহা য় আও অলা র্মারাহ্; অহুওয়া বিকুল্লি খল্ক্বিন্ ‘আলীমুনি।
বল, ‘যিনি প্রথমবার এগুলোকে সৃষ্টি করেছেন তিনিই সেগুলো পুনরায় জীবিত করবেন। আর তিনি সকল সৃষ্টি সম্পর্কেই সর্বজ্ঞাতা।
الَّذِي جَعَلَ لَكُمْ مِنَ الشَّجَرِ الْأَخْضَرِ نَارًا فَإِذَا أَنْتُمْ مِنْهُ تُوقِدُونَ
80
ল্লাযী জ্বা‘আলা লাকুম্ মিনাশ্ শাজ্বারিল্ আখ্দ্বোয়ারি না-রন্ ফাইযা য় আন্তুম্ মিন্হু তূক্বিদূ ন্।
যিনি সবুজ বৃক্ষ থেকে তোমাদের জন্য আগুন তৈরী করেছেন। ফলে তা থেকে তোমরা আগুন জ্বালাও।
أَوَلَيْسَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِقَادِرٍ عَلَى أَنْ يَخْلُقَ مِثْلَهُمْ بَلَى وَهُوَ الْخَلَّاقُ الْعَلِيمُ
81
আওয়া লাইসাল্লাযী খলাক্বস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্বোয়া বিক্ব-দিরিন্ ‘আলা য় আইঁ ইয়াখ্লুক্ব মিছ্লাহুম্; বালা-অহুওয়াল্ খল্লাকুল্ ‘আলীম্।
যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন তিনি কি তাদের অনুরূপ সৃষ্টি করতে সক্ষম নন? হ্যাঁ, তিনিই মহাস্রষ্টা, সর্বজ্ঞানী।
إِنَّمَا أَمْرُهُ إِذَا أَرَادَ شَيْئًا أَنْ يَقُولَ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ
82
ইন্নামা য় আম্রুহূ য় ইযা য় আর-দা শাইয়ান্ আইঁ ইয়াকুলা লাহূ কুন্ ফাইয়াকূন্
তাঁর ব্যাপার শুধু এই যে, কোন কিছুকে তিনি যদি ‘হও’ বলতে চান, তখনই তা হয়ে যায়।
فَسُبْحَانَ الَّذِي بِيَدِهِ مَلَكُوتُ كُلِّ شَيْءٍ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
83
ফাসুব্হা-নাল্ লাযী বিয়াদিহী মালাকূতু কুল্লি শাইয়িঁও অ ইলাইহি র্তুজ্বাঊ’ন্
অতএব পবিত্র মহান তিনি, যার হাতে রয়েছে সকল কিছুর রাজত্ব এবং তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।
Tag: সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ সহ pdf, সুরা ইয়াসিন বাংলা অনুবাদ সহ অডিও, সূরা ইয়াসিন বাংলা অনুবাদ সহ মন জুড়ানো তেলাওয়াত, সূরা ইয়াসিন আরবি ও বাংলা অনুবাদ