সুরা আল-মূলক
- بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
- আরবি উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
- বাংলা অনুবাদঃ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
- আরবি আয়াতঃ تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ67.1
- আরবি উচ্চারণঃ ৬৭.১। তাবা-রকাল্লাযী বিইয়াদিহিল্ মুল্কু অহুওয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন্ ক্বদীরু।
- বাংলা অনুবাদঃ ৬৭.১ বরকতময় তিনি যার হাতে সর্বময় কর্তৃত। আর তিনি সব কিছুর উপর সর্বশক্তিমান।
- আরবি আয়াতঃ الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا وَهُوَ الْعَزِيزُ الْغَفُورُ67.2
- আরবি উচ্চারণঃ ৬৭.২। নিল্লাযী খলাক্বল্ মাওতা অল্ হাইয়া-তা লিইয়াব্লুয়াকুম্ আইয়্যুকুম্ আহ্সানু ‘আমালা-; অহুওয়াল্ ‘আযীযুল্ গফূরু।
- বাংলা অনুবাদঃ ৬৭.২ যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে, কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে উত্তম। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, অতিশয় ক্ষমাশীল।
- আরবি আয়াতঃ الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا مَا تَرَى فِي خَلْقِ الرَّحْمَنِ مِنْ تَفَاوُتٍ فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرَى مِنْ فُطُورٍ67.3
- আরবি উচ্চারণঃ ৬৭.৩। আল্লাযী খলাক্ব সাব্‘আ সামা-ওয়া-তিন্ ত্বিবা-ক্ব-; মা-তার-ফী খর্ল্ক্বি রহ্মানি মিন্ তাফা-ওয়ুত্; র্ফাজ্বিঈ’ল্ বাছোয়ার হাল্ তার-মিন্ ফুত্বর।
- বাংলা অনুবাদঃ ৬৭.৩ যিনি সাত আসমান স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। পরম করুণাময়ের সৃষ্টিতে তুমি কোন অসামঞ্জস্য দেখতে পাবে না। তুমি আবার দৃষ্টি ফিরাও, কোন ত্রুটি দেখতে পাও কি?
- আরবি আয়াতঃ ثُمَّ ارْجِعِ الْبَصَرَ كَرَّتَيْنِ يَنْقَلِبْ إِلَيْكَ الْبَصَرُ خَاسِئًا وَهُوَ حَسِيرٌ 67.4
- আরবি উচ্চারণঃ ৬৭.৪। ছুর্ম্মা জ্বি‘ইল্ বাছোয়ার র্কারতাইনি ইয়ান্ক্বলিব্ ইলাইকাল্ বাছোয়ারু খ-সিয়াঁও অহুওয়া হার্সী।
- বাংলা অনুবাদঃ ৬৭.৪ অতঃপর তুমি দৃষ্টি ফিরাও একের পর এক, সেই দৃষ্টি অবনমিত ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে।
- আরবি আয়াতঃ وَلَقَدْ زَيَّنَّا السَّمَاءَ الدُّنْيَا بِمَصَابِيحَ وَجَعَلْنَاهَا رُجُومًا لِلشَّيَاطِينِ وَأَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابَ السَّعِيرِ67.5
- আরবি উচ্চারণঃ ৬৭.৫। অলাক্বদ্ যাইয়্যান্নাস্ সামা-য়াদ্ দুন্ইয়া-বিমাছোয়া-বীহা অজ্বা‘আল্নাহা-রুজুমাল্ লিশ্শাইয়াত্বীনি অআ‘তাদ্না-লাহুম্ ‘আযা-বাস্ সা‘র্ঈ।
- বাংলা অনুবাদঃ ৬৭.৫ আমি নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপপঞ্জু দ্বারা সুশোভিত করেছি এবং সেগুলোকে শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপের বস্তু বানিয়েছি। আর তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের আযাব।
- আরবি আয়াতঃ وَلِلَّذِينَ كَفَرُوا بِرَبِّهِمْ عَذَابُ جَهَنَّمَ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ67.6
- আরবি উচ্চারণঃ ৬৭.৬। অলিল্লাযীনা কাফারূ বিরব্বিহিম্ ‘আযা-বু জ্বাহান্নাম্; অ বি”সাল্ মার্ছী।
- বাংলা অনুবাদঃ ৬৭.৬ আর যারা তাদের রবকে অস্বীকার করে, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আযাব। আর কতইনা নিকৃষ্ট সেই প্রত্যাবর্তনস্থল!
- আরবি আয়াতঃ إِذَا أُلْقُوا فِيهَا سَمِعُوا لَهَا شَهِيقًا وَهِيَ تَفُورُ67.7
- আরবি উচ্চারণঃ ৬৭.৭। ইযা য় উল্ক্ব ফীহা- সামি‘ঊ লাহা-শাহীক্বঁও অহিয়া তাফূর।
- বাংলা অনুবাদঃ ৬৭.৭ যখন তাদেরকে তাতে নিক্ষেপ করা হবে, তখন তারা তার বিকট শব্দ শুনতে পাবে। আর তা উথলিয়ে উঠবে।
- আরবি আয়াতঃ تَكَادُ تَمَيَّزُ مِنَ الْغَيْظِ كُلَّمَا أُلْقِيَ فِيهَا فَوْجٌ سَأَلَهُمْ خَزَنَتُهَا أَلَمْ يَأْتِكُمْ نَذِيرٌ67.8
- আরবি উচ্চারণঃ ৬৭.৮। তাকা-দু তামাইয়্যাযু মিনাল্ গাইজ্; কুল্লামা য় উল্ক্বিয়া ফীহা- ফাওজুন্ সায়ালাহুম্ খাযানাতুহা য় আলাম্ ইয়াতিকুম্ নার্যী।
- বাংলা অনুবাদঃ ৬৭.৮ ক্রোধে তা ছিন্ন ভিন্ন হবার উপক্রম হবে। যখনই তাতে কোন দলকে নিক্ষেপ করা হবে, তখন তার প্রহরীরা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করবে, ‘তোমাদের নিকট কি কোন সতর্ককারী আসেনি’?
- আরবি আয়াতঃ قَالُوا بَلَى قَدْ جَاءَنَا نَذِيرٌ فَكَذَّبْنَا وَقُلْنَا مَا نَزَّلَ اللَّهُ مِنْ شَيْءٍ إِنْ أَنْتُمْ إِلَّا فِي ضَلَالٍ كَبِيرٍ 67.9
- আরবি উচ্চারণঃ ৬৭.৯। ক্ব-লূ বালা-ক্বদ্ জ্বা-য়ানা নাযীরুন্ ফাকায্যাব্না-অকুল্না-মা-নায্যালাল্লা-হু মিন্ শাইয়িন্ ইন্ আন্তুম্ ইল্লা-ফী দ্বোয়ালা-লিন্ কার্বী।
- বাংলা অনুবাদঃ ৬৭.৯ তারা বলবে, ‘হ্যা, আমাদের নিকট সতর্ককারী এসেছিল। তখন আমরা (তাদেরকে) মিথ্যাবাদী আখ্যায়িত করেছিলাম এবং বলেছিলাম, ‘আল্লাহ কিছুই নাযিল করেননি। তোমরা তো ঘোর বিভ্রান্তিতে রয়েছ’।
সুরা মুলক এর ফজিলত
সুরা মুলক এর ফজিলত, যে ব্যক্তি সুরা আল-মূলক পাঠ করবে। কিয়ামতের দিন ঐ সূরা আল্লাহর দরবারে ঐ ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করবে |
হযরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- কোরআন পাকে ত্রিশ আয়াতের একটি সূরা আছে,
যা এক ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করেছে, ফলে তাকে মাফ করে দেওয়া হয়েছে। সেই সূরাটি “তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলক”(আহমদ, তিরমিযী,আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবনে মাযাহ)
- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) একবার নবী কারীম (সা.) এর কোন এক সাহাবী একটি কবরের উপর আপন তাবু খাটালেন।
- তিনি জানতেন না যে, এখানে একটি কবর আছে। হঠাৎ তিনি দেখেন তার মধ্যে একটি লোক “তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলক পড়তেছে।
- এমনকি তা শেষ করে ফেলেছে, অত:পর তিনি নবী কারীম (সা.) এর নিকট আসলেন এবং তাকে এই সংবাদ জানালেন, নবী কারীম (সা.) বললেন- এই সূরাটি হচ্ছে আযাব বাধা দানকারী এবং মুক্তি দানকারী। যা পাঠককে আল্লাহ আযাব হতে মুক্তি দিয়ে থাকে।
- আল্লাহ তায়ালা তার জন্য সত্তর হাজার ফেরেশতা নিযুক্ত করবেন। যারা তার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত দোয়া করতে থাকবে।
- আর যদি সে এই দিনে মারা যায়, তাহলে মারা যাবে শহীদরূপে এবং যে ব্যক্তি উহা সন্ধ্যায় পড়বে সেও অনুরূপ মর্যাদার অধিকারী হবে।
- (তিরমিযী ও দারেমী, কিন্তু তিরমিযী বলেছেন- হাদীসটি গরীব)
- ব্যাখ্যা: “আউযু বিল্লাহিস সামীয়িল আলীম” এর অর্থ আমি আশ্রয় চাচ্ছি আল্লাহর নিকট, যিনি শ্রোতা, জ্ঞাতা বিতাড়িত শয়তান হতে।
গোনাহ মাফ করিয়ে দিবে সূরা মূলক
গোনাহ মাফ করিয়ে দিবে সূরা মূলক মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কোরআন শরীফে একটি ত্রিশ আয়াতের সূরা আছে। এই সূরা হাশরের দিন উহার নিয়মিত পাঠকারীদের জন্য সুপারিশ করে তাদের সমস্ত গোনাহ মাফ করিয়ে দিবে। উহা সূরা মূলক।’
সূরা আল-মূলক পবিত্র কোরআন শরীফের ৬৭ তম সূরা। এই সূরার আয়াত সংখ্যা ৩০, রুকু আছে ২টি। সূরা আল-মূলক মক্কায় অবতীর্ণ হয়। সূরা আল মূলকের নামের অর্থ, সার্বভৌম কর্তৃত্ব। এই সূরা পবিত্র কোরআন শরীফের ২৯ নং পারায় আছে।
সূরা আল-মূলকের পূর্ববর্তী সূরা হচ্ছে সূরা আত-তাহরীম, আর পরবর্তী সূরা হচ্ছে সূরা আল-কলম। নিয়মিত সূরা আল মূলক পাঠ করলে কবরের আজাব হতে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। তিরিমিজি শরীফে এসেছে, মহানবী হজরত মুহম্মদ (সা.) আলাইহে ওয়া সাল্লাম সূরা আল-মূলক পাঠ না করে ঘুমাতে যেতেন না।
Tag: কোরআন তেলাওয়াত সুরা মুলক, সুরা মুলক সুরা মুলক, সূরা তুল মুলক, সুরা মুলক ডাউনলোড, সুরা মুলক pdf, সুরা মুলক অডিও, সুরা মুলক তেলাওয়াত, সূরা মুলক,মুলক সুরা, সুরা মুলক, সুরা মুলক ফজিলত, সূরা মুলক এর ফজিলত।